এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে জড়িয়ে আছে আমার স্বপ্ন । এটি এমন এক স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে এসে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা বিকাশে সর্বোচ্চ সুযোগ পাবে । সুযোগ পাবে নিজেদের বিকশিত করার, বহির্বিশ্বের উপযুক্ত করে নিজেকে মেলে ধরার ।
একটি স্কুল নির্ধারণ করে দেয় একটি জাতি উন্নতির কোন স্তরে নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে । শিক্ষার কাঁধে ভর দিয়েই আমাদের সমস্ত অর্জন । আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার সেই কাঁধকে শক্তিশালী করে চলেছে নিরন্তরভাবে । আর এক্ষেত্রে আমাদের সুশিক্ষিত শিক্ষক মণ্ডলী, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ এবং নিরাপদ পরিবেশ সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে ।
খুব প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, "Rome wasn’t built in a day" ঠিক একইভাবে আমার এই স্বপ্ন একদিনে আজকের এই পরিণতি পায়নি । দীর্ঘদিনের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা আর একাগ্রতাই আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আজকের রূপ দিয়েছে ।
ঢাকা মিরপুর ১২ নং সেকশন একটি জনবহুল এলাকা । আধুনিক ঢাকার সকল সুবিধা সম্বলিত স্বনামধন্য এলাকাগুলোর মধ্যে মিরপুর অন্যতম বললে অতুক্তি হবে না । সেই সাথে শিক্ষাঙ্গনেও মিরপুরবাসী এখন অনেকটাই এগিয়ে । ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত 'প্যারাডাইজ ইন্টারন্যাশনাল হাই স্কুল’বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি English version চালু করে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে ।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে উক্ত বিদ্যালয়ের সাথে জড়িয়ে আছেন উচ্চশিক্ষিত, কর্মঠ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী । তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বৃহত্তর মিরপুরে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয়টি এর সুনাম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির PSC অষ্টম শ্রেণির JSC এবং দশম শ্রেণির SSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রতিবছরই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে ।
আমি বিশ্বাস করি, এই প্রজন্ম আমাদের অনেক কিছুই দিতে পারবে । তবে এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা, নির্দেশনা ও সৃজনশীলতা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ । আর এই তিনের সমন্বয়ে একজন শিক্ষার্থী আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠবে । দেশ, জাতি ও পরিবারের জন্য সম্পদে পরিণত হবে । আর আমাদের প্যারাডাইজ ইন্টারন্যাশনাল হাই স্কুল তাদের সমস্ত কার্যক্রম এই উদ্দেশ্যেই পরিচালনা করে থাকে । প্যারাডাইজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা, উন্নত মেধা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকগণের যৌথ প্রয়াস ছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতি আশা করা যায় না । তাই অভিভাবক মহলের কাছে আমার প্রত্যাশা উৎসাহ ও প্রেরণামূলক সহযোগিতা । তবেই শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ তাদের সঠিক শিক্ষা প্রয়োগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবে । নতুন বছর আপনার সন্তানের শিক্ষাজীবন আরও উজ্জ্বল হোক এবং একই সাথে তার যথাযথ মানসিক বিকাশ হোক এই প্রত্যাশাই করছি ।